একটা মেয়ে অবাককে পিছন থেকে ডাক দিলো কিন্তু অবাক না শোনার ভান করে চলে আসছে। মেয়েটি একটু দৌড়ে এসে অবাকের সামনে দাড়ালো। অবাক তো চুপ করে দাড়িয়ে আছে কিছুই বলছে না। কারন অবাক জানে অন্যকিছু ঘটতে পারে তাই চুপ করে দাড়িয়ে থাকায় শ্রেয়।অবাক বুঝতে পারছে মেয়েটি রেগে আছে। শাপের মত গজরাচ্ছে। তাই অবাক একটু ভয় পেলো। মেয়েটি বলতে লাগলো..
#অাপনি কি কম শোনেন নাকি
*অামি...?
*হুম এখানে আপনি ছাড়া তো কেও নেয়
*আপনাকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছেন না...?
*আমাকে কেনো ডাকবেন আপনি ...?
*আপনি হাবলার মত প্রতিদিন তাকিয়ে থাবেন কেনো আমার দিকে...?
*আমি....!(অবাক হওয়ার ভান করে)
*হুম আপনি(রাগের ভাব নিয়ে...?
*কয় না তো.
*আবার মিথ্যা কথা....
অবাক মেয়েটার প্রশ্নের সম্যুখিন হয়ে বুঝতে পারছে না যে তার কি বলা উচিত
অবাক একটু থেমে আবাে বলতে লাগলো
*ওই যে ওখানে কতগুলো ফুল ফুটেছে দেখেছেন(হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে)
*হ্য দেখেছি তো(আরো রাগের ভাব নিয়ে....)
*ওই ফুল গুলো অনেক সুন্দদর আপনার ভালো লাগে না...
*লাগে তো কি বোঝাতে চাইছেন...?
*ওই ফুল গুলো কিন্তু আমারও ভালো লাগে শুধু আমার না সবার ই ভালো লাগে
মেয়েটা এবার সত্যিই বিরক্ত হয়ে যায় কারন ছেলেটা কথা এতো পেচিয়ে বলে কেনো সজাসুজি বলতে পারে না.
*হুম তো...
*কই ওই ফুল গুলো তো একবারও বলে না যে আমাকে দেখছো কে নো কোনো অভিযোগ নাই ওদের...
কথাগুলো বলেই অবাক হনহন করে চলে গেলো আর মেয়েটি দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো এ আবার কেমন ছেলে যে একটা কথা সোজাসুজি বলতে পারে না মনে হয় ছেলেটার মাথায় জিলাপিরর প্যাচ আছে....সে দিনে মেয়েটাও চলে গেলো...
.
এতক্ষন কথা হচ্ছলো অবাক ও অনন্যার সাথে। ওরা দুজনেই বিবিএ ফাস্টইয়ার। আর আজকের টপিকস টা হলো অবাক প্রতিদিন অনন্যা কে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে।পুরা ক্লাস হাবলার মত অনন্যার দিকে তাকিয়ে থাকে অার কথায় আছে না মেয়েরা নাকি এক কিলো মিটার থেকে বুঝতে পারে কে তাকে দেখছে..... অনন্যারও ব্যতিক্রম হলো না। অনন্যাও বুঝতে পারলো অবাক তাকে ফলো করে কিন্তু ছেলেটা কখনো তার সাথে কথা বলে না.....
.
অবাক প্রথম যেদিন কলেজে আসে সেদিনই অনন্যাকে তার ভালো লাগে...
ক্লাসে ঢুকে দেখে ছেলেদের পিছনে কোনো জাইগা নাই। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েদের পিছনে বসতে হয়। অবাক ক্লাসে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু স্যার ব্লাকবোর্ডে ফিন্যান্স ম্যাথ দেখাচ্ছে তাই বোর্ডের দিকে তাকাতে গিয়ে এক জাইগায় চোখ আাটকে যায়। হ্যা এই অনন্যা কে দেখে।মেয়েটির মাথার উপর দিয়ে অবাককে বোর্ড দেখতে হচ্ছে। কিন্তু মেয়েটা পাশের মেয়েটার সাথে কথা বলছে আর হাসছে। মেয়েটার গালে যে ঢোল পড়ে অবাকের চোখ সেদিন এড়াই নি।
মেয়েটার মুখটা অবাক দেখতে পায় নি।হঠাৎ মেয়েটি পিছনে তাকালো। মেয়েটাকে দেখে অবাক যেনো থমকে গেলো। এতো সুন্দর মেয়ে। অসাধারন রুপবতী। অবাক নিমিশেয় প্রেমে পড়ে গেলো। পৃথিবীর সব মায়ায় যেনো আল্লাহ এই মেয়েকে দিয়েছে....
.
তারপর থেকে অবাক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে। অবাক জানতে পারে অনন্যা ধনী পরিবারের মেয়ে। দেখতেও সুন্দরী। আর পড়াশোনাতেও ভালো... কিন্তু অবাক পুরাটাই মেয়েটার বিপরীত কারন অবাক সাধারন পরিবারের ছেলে। কারো সাথে তেমন কথা বলে না প্রয়োজন ছাড়া আর বললেও প্যাচিয়ে কথা বলে... অবাক দেখতে ততটা হ্যান্ডসাম না। দেখতে মনে হয় এইট-নাইনে পড়ে। কিন্তু ছেলেটা অনেক কিউট প্রকৃতির।
.
অনন্যার যেনো ছেলেটার প্রতি প্রচন্ড রাগগ হচ্ছে।কেমন ছেলে এটা। কথাও বলতে পারে না ভালো করে শুধুই প্যাচ মাথায়।অন্যদিকে অবাক তো অনন্যাকে অনেক আগেই স্বপ্নের রাজ্যে বসিয়েছে। কিন্তু অবাক ভয় করে যে এতো সুন্দর একটা মেয়ে অবাককে কি পছন্দ করবে। তার থেকে দুরে থেকে ভালো বাসাটা ই মনে হয় ভালো হবে।.
.
অবাক প্রতিদিনই অনন্যাকে দেখতে থাকে অর কল্পনাতে ভাসতে থাকে। অনন্যাও সেটা লক্ষ করে। অনন্যা ভাবলো আর না ছেলেটার কিছু একটা করতে হবে। আর না।কিন্তু কি করবে ছেলেটা যে অত্যান্ত ছেবলা টাইপের মনে হয়। অনন্যারও যেনো এদানে অবাকে নিয়ে ভাবনা হয়।
.
একদিন অবাক ক্লাসে যায়। ক্লাসে গিয়ে দেখে অনন্যা একটা ছেলের সাথে গা লাগিয়ে গল্প করছে। হাসা হাসি করছে। এটা দেখে অবাকে মনে মেঘ জমতে থাকলো। দিনটা যেনো খারাপ কাটতে লাগলো। অনন্যাও খেয়াল করলো। তাই অবাক অনন্যার কাছে যেতে গিয়ে আবার কি মনে করে ঘুরে আসলো। ক্লাসে গিয়ে বসে ভাবছে অনন্যাকে হারানোর কথা আসলে অবাক অনন্যাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু মেয়েটাকি কি কিছু বোঝে না। না কিছু একটা করতেই হবে মেয়েটাকে হারালে চলবে না......
.
তাই সেদিন ক্লাস শেষে অবাকক সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটার কিছু করতে হবে। যা ভাবনা তাই কাজ ছেলেটাকে অবাক অনেক কিছু বলে এমন কি গায়ে হাত উঠাতেও যায়।
.
পরদিন অবাক একটা গাছের নিচে বসে অাছে আর চোখের পানি যেনো নিমিশেয় পড়ছে।অবাক খেয়াল করলো কেও তার সামনে দাড়িয়ে। তাকিয়ে দেখলো অনন্যা।
*তুমি সিয়াম কে কি বলেছো..?
মস্তানি করো ....
তাই বলে অনন্যা অবাককে কিছু না বলতে দিয়েই ঠাস করে একটা চড় মারে আর বলে আর যেনো কোনোদিন তাকে চোখের সামনে না দেখে। বলে অনন্যা চলে গেলো আর অবাকের চোখের পানি মাটিতে টপটপ করে পড়ছে মাটিতে। নিজেকে যেনো খুব অসহায় মনে হচ্ছে..অবাকের।
.
পরদিন অনন্যা কলেজে অাসে। এসে দেখে অবাক কলেজে আসে নি। অনন্যা বেশ খুশিই হয়। যাক বাচা গেছে অাপদ বিদায় হয়েছে....
.
অনন্যা বেশ কিছুদিন খেয়াল করছে অবাককে আর দেখা যাচ্ছে না। অবাক কলেজ আসে না কেনো...।না অনন্যা তো এটাই চেয়েছিলো। কিন্তু এখন কেনো এমন হচ্ছে তার মানে কি অনন্যা অবাককে... না আর ভাবতে পাররছে না অনন্যা।
.
অনন্যা এখন প্রতিদিনই অবাককে খোজে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। অবাক গেলো কোথায়। অনন্যা দিন দিন পরিবর্তন হতে লাগলো অবশেষে অনন্যা অবাককে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু সেই বদ ছেলেটা কোথায় গেলো...
সেদিন না হয় বলেছিলাম তাই বলে এভাবে কষ্ট দেবে। এভাবে ভাবতে ভাবতে অনন্যা পাগল প্রাই।
.
অনন্যা ঠিক করলো যে করেই হোক অবাককে খুজে বার করতে হবে। তাই কলেজ আর বন্ধুদের সাথে ঠিকানা নিয়ে চলে য়ায় অবাকের খোজে। গিয়ে জানতে পারে অবাক একটি এতিম ছেলে। অবাকের মা বাবা ছোটবেলায় মারা গেছে তারপর থেকে এতিম খানাতে বড়ড় হয়েছে। অনন্যা সেখানে যায়। গিয়ে দেখে অবাক ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে হেসে হেসে গল্প করছে। অবাক মোটেও অনন্যাকে এখানে দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলো না....
অনন্যা গিয়ে বলে...
*এতদিন কলেজ যাও নি কেনো...?
*..........
*কি হলো চুপ কেননো....(রাগ)
*তুমিই তো বলেছিলে....
অনন্যা অবাককে টানতে টানতে পাশে এক পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়
দুজনে নিশ্চুপ। কারো কোনো কথা নেয়
অবাক নিরবতা ভেঙে বলে
*এখানে কেনো আনলে...?
*এমনি....
*তাহলে আমি আসি......
*উঠে দেখো পা ভেঙে দেবো(চোখে পানিতে টলমল করছে)
*কেনো আমি কে তোমার....?
*আমাকে ভালোবাসো না...?
*না.....
*কি...?
*না মানে বাসি
*তাহলে কেনো কষ্টদিলে...
*তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তুমি তো সেই ছেলেকে.....
*চুপ একদম চুপ ওই ছেলেটা আমার কাজিন আর তুমি....
অনন্যা কাদছে আর অবাক অনন্যাকে জড়িয়ে ধরে অবাকও কাদতে থাকে......
শুরুহলো তাদের ভালোবাসার গল্প
না হয় ভালোবাসি নাই বলুক কেও.....
#ভালোবাসা ঠিক তততক্ষন সুন্দর যতক্ষন আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসি না বলি।ভালোবাসি বলে ফেললেই তা আর ভালোবাসা থাকে না সেটা প্রেমে পরিনত হয়। আর প্রেম কখনোই সুন্দর হয় না
[সম্পুর্ন কল্পনা থেকে লেখা।ভুলত্রুটি মার্জনীয় ]
.
Soft-heart Bird
#অাপনি কি কম শোনেন নাকি
*অামি...?
*হুম এখানে আপনি ছাড়া তো কেও নেয়
*আপনাকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছেন না...?
*আমাকে কেনো ডাকবেন আপনি ...?
*আপনি হাবলার মত প্রতিদিন তাকিয়ে থাবেন কেনো আমার দিকে...?
*আমি....!(অবাক হওয়ার ভান করে)
*হুম আপনি(রাগের ভাব নিয়ে...?
*কয় না তো.
*আবার মিথ্যা কথা....
অবাক মেয়েটার প্রশ্নের সম্যুখিন হয়ে বুঝতে পারছে না যে তার কি বলা উচিত
অবাক একটু থেমে আবাে বলতে লাগলো
*ওই যে ওখানে কতগুলো ফুল ফুটেছে দেখেছেন(হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে)
*হ্য দেখেছি তো(আরো রাগের ভাব নিয়ে....)
*ওই ফুল গুলো অনেক সুন্দদর আপনার ভালো লাগে না...
*লাগে তো কি বোঝাতে চাইছেন...?
*ওই ফুল গুলো কিন্তু আমারও ভালো লাগে শুধু আমার না সবার ই ভালো লাগে
মেয়েটা এবার সত্যিই বিরক্ত হয়ে যায় কারন ছেলেটা কথা এতো পেচিয়ে বলে কেনো সজাসুজি বলতে পারে না.
*হুম তো...
*কই ওই ফুল গুলো তো একবারও বলে না যে আমাকে দেখছো কে নো কোনো অভিযোগ নাই ওদের...
কথাগুলো বলেই অবাক হনহন করে চলে গেলো আর মেয়েটি দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো এ আবার কেমন ছেলে যে একটা কথা সোজাসুজি বলতে পারে না মনে হয় ছেলেটার মাথায় জিলাপিরর প্যাচ আছে....সে দিনে মেয়েটাও চলে গেলো...
.
এতক্ষন কথা হচ্ছলো অবাক ও অনন্যার সাথে। ওরা দুজনেই বিবিএ ফাস্টইয়ার। আর আজকের টপিকস টা হলো অবাক প্রতিদিন অনন্যা কে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে।পুরা ক্লাস হাবলার মত অনন্যার দিকে তাকিয়ে থাকে অার কথায় আছে না মেয়েরা নাকি এক কিলো মিটার থেকে বুঝতে পারে কে তাকে দেখছে..... অনন্যারও ব্যতিক্রম হলো না। অনন্যাও বুঝতে পারলো অবাক তাকে ফলো করে কিন্তু ছেলেটা কখনো তার সাথে কথা বলে না.....
.
অবাক প্রথম যেদিন কলেজে আসে সেদিনই অনন্যাকে তার ভালো লাগে...
ক্লাসে ঢুকে দেখে ছেলেদের পিছনে কোনো জাইগা নাই। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েদের পিছনে বসতে হয়। অবাক ক্লাসে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু স্যার ব্লাকবোর্ডে ফিন্যান্স ম্যাথ দেখাচ্ছে তাই বোর্ডের দিকে তাকাতে গিয়ে এক জাইগায় চোখ আাটকে যায়। হ্যা এই অনন্যা কে দেখে।মেয়েটির মাথার উপর দিয়ে অবাককে বোর্ড দেখতে হচ্ছে। কিন্তু মেয়েটা পাশের মেয়েটার সাথে কথা বলছে আর হাসছে। মেয়েটার গালে যে ঢোল পড়ে অবাকের চোখ সেদিন এড়াই নি।
মেয়েটার মুখটা অবাক দেখতে পায় নি।হঠাৎ মেয়েটি পিছনে তাকালো। মেয়েটাকে দেখে অবাক যেনো থমকে গেলো। এতো সুন্দর মেয়ে। অসাধারন রুপবতী। অবাক নিমিশেয় প্রেমে পড়ে গেলো। পৃথিবীর সব মায়ায় যেনো আল্লাহ এই মেয়েকে দিয়েছে....
.
তারপর থেকে অবাক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকে। অবাক জানতে পারে অনন্যা ধনী পরিবারের মেয়ে। দেখতেও সুন্দরী। আর পড়াশোনাতেও ভালো... কিন্তু অবাক পুরাটাই মেয়েটার বিপরীত কারন অবাক সাধারন পরিবারের ছেলে। কারো সাথে তেমন কথা বলে না প্রয়োজন ছাড়া আর বললেও প্যাচিয়ে কথা বলে... অবাক দেখতে ততটা হ্যান্ডসাম না। দেখতে মনে হয় এইট-নাইনে পড়ে। কিন্তু ছেলেটা অনেক কিউট প্রকৃতির।
.
অনন্যার যেনো ছেলেটার প্রতি প্রচন্ড রাগগ হচ্ছে।কেমন ছেলে এটা। কথাও বলতে পারে না ভালো করে শুধুই প্যাচ মাথায়।অন্যদিকে অবাক তো অনন্যাকে অনেক আগেই স্বপ্নের রাজ্যে বসিয়েছে। কিন্তু অবাক ভয় করে যে এতো সুন্দর একটা মেয়ে অবাককে কি পছন্দ করবে। তার থেকে দুরে থেকে ভালো বাসাটা ই মনে হয় ভালো হবে।.
.
অবাক প্রতিদিনই অনন্যাকে দেখতে থাকে অর কল্পনাতে ভাসতে থাকে। অনন্যাও সেটা লক্ষ করে। অনন্যা ভাবলো আর না ছেলেটার কিছু একটা করতে হবে। আর না।কিন্তু কি করবে ছেলেটা যে অত্যান্ত ছেবলা টাইপের মনে হয়। অনন্যারও যেনো এদানে অবাকে নিয়ে ভাবনা হয়।
.
একদিন অবাক ক্লাসে যায়। ক্লাসে গিয়ে দেখে অনন্যা একটা ছেলের সাথে গা লাগিয়ে গল্প করছে। হাসা হাসি করছে। এটা দেখে অবাকে মনে মেঘ জমতে থাকলো। দিনটা যেনো খারাপ কাটতে লাগলো। অনন্যাও খেয়াল করলো। তাই অবাক অনন্যার কাছে যেতে গিয়ে আবার কি মনে করে ঘুরে আসলো। ক্লাসে গিয়ে বসে ভাবছে অনন্যাকে হারানোর কথা আসলে অবাক অনন্যাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু মেয়েটাকি কি কিছু বোঝে না। না কিছু একটা করতেই হবে মেয়েটাকে হারালে চলবে না......
.
তাই সেদিন ক্লাস শেষে অবাকক সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটার কিছু করতে হবে। যা ভাবনা তাই কাজ ছেলেটাকে অবাক অনেক কিছু বলে এমন কি গায়ে হাত উঠাতেও যায়।
.
পরদিন অবাক একটা গাছের নিচে বসে অাছে আর চোখের পানি যেনো নিমিশেয় পড়ছে।অবাক খেয়াল করলো কেও তার সামনে দাড়িয়ে। তাকিয়ে দেখলো অনন্যা।
*তুমি সিয়াম কে কি বলেছো..?
মস্তানি করো ....
তাই বলে অনন্যা অবাককে কিছু না বলতে দিয়েই ঠাস করে একটা চড় মারে আর বলে আর যেনো কোনোদিন তাকে চোখের সামনে না দেখে। বলে অনন্যা চলে গেলো আর অবাকের চোখের পানি মাটিতে টপটপ করে পড়ছে মাটিতে। নিজেকে যেনো খুব অসহায় মনে হচ্ছে..অবাকের।
.
পরদিন অনন্যা কলেজে অাসে। এসে দেখে অবাক কলেজে আসে নি। অনন্যা বেশ খুশিই হয়। যাক বাচা গেছে অাপদ বিদায় হয়েছে....
.
অনন্যা বেশ কিছুদিন খেয়াল করছে অবাককে আর দেখা যাচ্ছে না। অবাক কলেজ আসে না কেনো...।না অনন্যা তো এটাই চেয়েছিলো। কিন্তু এখন কেনো এমন হচ্ছে তার মানে কি অনন্যা অবাককে... না আর ভাবতে পাররছে না অনন্যা।
.
অনন্যা এখন প্রতিদিনই অবাককে খোজে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। অবাক গেলো কোথায়। অনন্যা দিন দিন পরিবর্তন হতে লাগলো অবশেষে অনন্যা অবাককে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু সেই বদ ছেলেটা কোথায় গেলো...
সেদিন না হয় বলেছিলাম তাই বলে এভাবে কষ্ট দেবে। এভাবে ভাবতে ভাবতে অনন্যা পাগল প্রাই।
.
অনন্যা ঠিক করলো যে করেই হোক অবাককে খুজে বার করতে হবে। তাই কলেজ আর বন্ধুদের সাথে ঠিকানা নিয়ে চলে য়ায় অবাকের খোজে। গিয়ে জানতে পারে অবাক একটি এতিম ছেলে। অবাকের মা বাবা ছোটবেলায় মারা গেছে তারপর থেকে এতিম খানাতে বড়ড় হয়েছে। অনন্যা সেখানে যায়। গিয়ে দেখে অবাক ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে হেসে হেসে গল্প করছে। অবাক মোটেও অনন্যাকে এখানে দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলো না....
অনন্যা গিয়ে বলে...
*এতদিন কলেজ যাও নি কেনো...?
*..........
*কি হলো চুপ কেননো....(রাগ)
*তুমিই তো বলেছিলে....
অনন্যা অবাককে টানতে টানতে পাশে এক পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়
দুজনে নিশ্চুপ। কারো কোনো কথা নেয়
অবাক নিরবতা ভেঙে বলে
*এখানে কেনো আনলে...?
*এমনি....
*তাহলে আমি আসি......
*উঠে দেখো পা ভেঙে দেবো(চোখে পানিতে টলমল করছে)
*কেনো আমি কে তোমার....?
*আমাকে ভালোবাসো না...?
*না.....
*কি...?
*না মানে বাসি
*তাহলে কেনো কষ্টদিলে...
*তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তুমি তো সেই ছেলেকে.....
*চুপ একদম চুপ ওই ছেলেটা আমার কাজিন আর তুমি....
অনন্যা কাদছে আর অবাক অনন্যাকে জড়িয়ে ধরে অবাকও কাদতে থাকে......
শুরুহলো তাদের ভালোবাসার গল্প
না হয় ভালোবাসি নাই বলুক কেও.....
#ভালোবাসা ঠিক তততক্ষন সুন্দর যতক্ষন আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসি না বলি।ভালোবাসি বলে ফেললেই তা আর ভালোবাসা থাকে না সেটা প্রেমে পরিনত হয়। আর প্রেম কখনোই সুন্দর হয় না
[সম্পুর্ন কল্পনা থেকে লেখা।ভুলত্রুটি মার্জনীয় ]
.
Soft-heart Bird
No comments:
Post a Comment